প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে দেশ। শীতের তীব্রতায় বাড়ে নানা ধরনের রোগব্যাধি। এছাড়া হাইপোথার্মিয়া বা হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই সময় এমন কিছু খাবার পাতে রাখা চাই যা ভেতর থেকে গরম রাখবে শরীর। এই ধরনের খাবার সাধারণত হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে থার্মোজেনেসিস বলে। হেলদি ফ্যাট বা স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এমন কিছু খাবারের নাম।
১। ঘি
ঘি পুষ্টির দিক থেকে অন্যান্য তেল বা চর্বির থেকে উচ্চতর। কারণ এর মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান সরাসরি লিভার দ্বারা শোষিত হয় এবং শক্তি প্রদানের জন্য পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘি বিউটারিক অ্যাসিড ধারণ করে। এটি একটি শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যা হজম সহজ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
২। তিল
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তিল বীজ। শীতকালে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে তিলের বীজে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ।
৩। ভেষজ চা
ঘরে তৈরি ভেষজ চা আপনাকে এই শীতে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করবে। আদা, যষ্টিমধু ও তুলসী দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চা। আদা হজমের জন্য ভালো যা থার্মোজেনেসিসকে উদ্দীপিত করতে পারে। এটি একটি ডায়াফোরটিক, যা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে গরম করতে সাহায্য করে। যষ্টিমধুতে গ্লাইসিরিজিন নামক একটি রাসায়নিক রয়েছে যা ভেষজটিকে এর মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি প্রদাহরোধী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দেয়। তুলসী শীতকালীন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
৪। রাগি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে রাগি বা ফিঙ্গার মিলেটে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, লিগনিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এটি আমাদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং শীতকালে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে।