রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর কক্ষ থেকে বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে হলটির ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন সোহান হাসান। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী।
ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলামের অভিযোগ, মেসে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ছয় মাস ঘুরে হলে আবাসিকতা পান তিনি। গত ১০ জানুয়ারি থেকে হলের ১৩০ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন রাকিবুল। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতা সোহান তার সিট দখল করেন এবং তার বিছানাপত্র নিচে ফেলে অন্য এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে সেই সিটে তুলে দেন।
বিষয়টি পরদিন প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি ভুক্তভোগীকে বলেন, ‘আমার দায়িত্ব সিটে তুলে দেওয়া, সিটে থাকতে পারবে কিনা সেই দায়ভার আমার না। এখন তোমার কোনো বড় ভাইয়ের সাপোর্ট নিয়ে সিটে থাকো। সিট দেওয়ার দায়িত্ব আমার, সিট রক্ষার দায়িত্ব তোমার।’ এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রাধ্যক্ষকে একটি অভিযোগপত্র দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসান বলেন, আমি তাকে নামিয়ে দেইনি। অন্য কেউ দিতে পারে। বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সমাধান করে দিয়েছেন। এখন তিনি ওই কক্ষেই আছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। জানতে চাইলে শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনাটির সমাধান হয়ে গেছে। ওই ছেলে ওই রুমেই থাকবে।
নিজের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তোলা অভিযোগের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন, সে যেভাবে বলেছে, আমি ওইভাবে বলিনি। প্রথমে ওই ছেলে আমাকে সিটের বিষয়ে বলার পরে আমি তাকে বলেছিলাম যে, দেখো ওই সিটের বিষয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা আগেই বলেছে। তুমি কি ওখানে থাকতে পারবা? সে বলল, থাকতে পারবো স্যার। পরে যখন বলল নামিয়ে দিয়েছে, তখন আমি বলেছি যে, বললে থাকতে পারবে, তাহলে পারলে না কেন?