আমাদের এই মেহেরপুর ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মেহেরপুরের নামটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন এই বাংলাদেশ থাকবে আর মুজিবনগর মেহেরপুরের নাম জ্বলজ্বল করবে স্বর্ণাক্ষরে। মুজিবনগর হচ্ছে স্বাধীনতার তীর্থস্থান। আপনারা জানেন আজকের এই বাংলাদেশ আর পনের বছর আগের বাংলাদেশ কিন্তু এক নয়।
মেহেরপুর-১ আসনে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগনের জন্য আমাদের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই দূর্ণীতি সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ উঠবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনকে জনগনের সেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসেন দুর্ণিতি থাকলে উন্নয়ন অগ্রযাত্র ব্যাহত হয়। তাই কোন ধরনের দুর্ণীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা।
জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে এসময় মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক, গণপূর্ত ভবনের প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শামীম হাসানসহ জেলার সকল সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।