ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং ইরানি রেভ্যুলুশনারি গার্ডের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২ জানুয়ারি) ৭টি স্থানের ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। গত সপ্তাহে জর্ডান সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।
জয়েন্ট স্টাফের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডগলাস সিমস বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় ৩০ মিনিটের মধ্যে হামলাগুলো পরিচালনা করা হয়েছে। আঘাত করা স্থানগুলোর মধ্যে তিনটি ইরাকের এবং চারটি সিরিয়ার। সেসব স্থানগুলোর মধ্যে কমান্ড ও কন্ট্রোল হেডকোয়ার্টার, গোয়েন্দা সেন্টার, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবারুদ সংরক্ষণাগার, এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত সুবিধাগুলো ছিল।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, লক্ষ্যবস্তুগুলো ‘এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে বেসামরিকদের হতাহতের বিষয়টি এড়ানো যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর করা হামলার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে।’
তবে ঠিক কী কী প্রমাণ রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন কিরবি।সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর করা মার্কিন এই হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের সঠিক কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম হতাহতের বিষয়ে জানালেও নিদিষ্ট কোনও সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
এদিকে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে মার্কিন হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া হুমকি ধামকির কারণে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আত্মগোপনে গিয়েও থাকতে পারে। তাই এই হামলার প্রভাব কী হবে তা এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না।