পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গণনা এখনও চলছে। সেই সঙ্গে চলছে বিভিন্ন আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ১৬৫টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবর অনুসারে, ২৬৫টির মধ্যে ১৬৫টি আসনের মধ্যে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। তারা জিতেছেন ৬৭টি আসনে। ৪৭ আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৩৮টি আসন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে কোনও দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব হবে না। পিপিপি ও পিএমএল-এন সম্ভবত জোট সরকার গঠন করতে পারে। তবে জোট সরকার গঠনের কথা অস্বীকার করে পিটিআই দাবি করেছে, তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সরকার তারাই গঠন করবে।
পিটিআই প্রধান গোহর খান বলেছেন, আমরা পিপিপি বা পিএমএল-এনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। আমরা জোট সরকার গঠন করতে চাই না। আমরা কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন করব। তার দাবি, পিটিআই ১৫০টি আসন জিতেছে এবং দলটি কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন অর্জন করতে সক্ষম হবে।
গোহর বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই স্পষ্ট এগিয়ে রয়েছে এবং সেখানেও সরকার গঠন করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পিটিআই পার্লামেন্টে থাকবে এবং তার ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে, পিটিআই জোট গঠন করবে বলে দাবি করেন পিএমএল-এন সিনিয়র নেতা ইসহাক দার। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং তারা সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনও দলের সঙ্গে যোগ দেবে। দার আরও বলেছেন, পিএমএল-এন কাউকে দলে যোগ দিতে বাধ্য করতে পারে না। তবে যে প্রার্থীরা তাদের দলে যোগ দিতে ইচ্ছুক তাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকলেও বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। সাধারণত ভোটের দিন রাতেই বিভিন্ন আসনের ফলাফল জানা যেত। কিন্তু এবার ফলাফল প্রকাশে অস্বাভাবিক বিলম্বের অভিযোগ করেছে পিটিআইসহ কয়েকটি দল।
এবারের নির্বাচনে দেশটিতে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের প্রায় অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সী। জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ আসনের মধ্যে ২৬৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ৩১৩ জন।