আজ (১২ মার্চ) প্রথম রমজান। গাজীপুর সদর এবং এর আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বন্ধ কবে থেকে, ক্লাস আদৌও চলবে কিনা- এসব বিষয়ে দ্বিধায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক।
এর আগে গত রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শহরের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুল খোলা। ক্লাস হচ্ছে। তবে অভিভাবকেরা ক্লাস শুরুর আগ পর্যন্ত নিশ্চিত ছিলেন না ক্লাস হবে কিনা। শিক্ষকরা বলছেন আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি হাইকোর্ট স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি। ফলে আমাদের ক্লাস চালাতেই হবে৷
গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এম এ রাজ্জাক মাস্টার আলিম মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান রতন বলেন, কয়েকজনের রিটের বিপরীতে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখান নির্দেশনা দেন। তবে আজ সেটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি রয়েছে। আমাদের কোনো নির্দেশনা আসেনি, এজন্য ক্লাস চলমান রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একটু কম।
সফিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন নাহার শেলী বলেন, আমাদের স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা আসেনি৷ ফলে আমাদের পূর্বের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ১০ রোজা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেভাবে চলবে, সেই রুটিন করা হয়েছে।
কেনাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবিভাবক আলি আজগর আবেদিন বলেন, আমরা দ্বিধায় আছি। একবার শুনি বন্ধ, আবার শুনি চালু। এভাবে চললে কীভাবে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জিকা আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তখন জানানো হয়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।