রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, এবারই প্রথম ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে রেল ভ্রমণ করেছে। রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। কালো বাজারী সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে। এটা যখন শুরু হয়েছে, শেষও হবে ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকক্তিযুদ্ধকালীন মন্ত্রীর রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় জন প্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুরের রেল সংযোগ নির্মানে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্প। এটির কাজ চলমান রয়েছে। এটি ইনশাআল্লাহ। যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রসেস আছে। কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করা হয়। ফিজিবিলিটি রিপোর্ট পজেটিভ হলে সেটি প্রকল্প স্টেটমেন্ট ও ডিজাইন করা হয়।এসব প্রসেস শেষ হলে সেটি প্রকল্প আকারে একনেকে তোলা হয়। একনেকে পাশ হলে ইআরডিতে যাবে। তারাই প্রকল্পের অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মুজিবনগর রেললাইন প্রকল্প এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি। এসব প্রসেসের জন্য যতটুকু সময় লাগবে এবং যতটুকু দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।
এসময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধকালিন তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।
এসময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।