পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সংখ্যালঘু এক মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার পাচঁ ও তিন বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। তার বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী হাজরাডাংগা ইউনিয়নের বাগদহ গোবিন্দপাড়ার আরাজি শিকারপুর গ্রামে। গ্রামে। গত ২৯ এপ্রিল রাতে একই এলাকার মৃত মান্নান খানের ছেলে সায়েম খান ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতার স্বামী জানান, কাজের তাগিদে আমি বাড়ির বাইরে বগুড়ায় অবস্থান করি। ২৯ এপ্রিল রাতে আমার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য আমার স্ত্রী বাহিরে যায়। এরপর একই এলাকার সায়েম খান ঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিল। আমার স্ত্রী প্রকৃতির কাজ সেড়ে ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লে সায়েম খান আমার স্ত্রীর মুখে কাপড় গুজে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে সায়েম দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে মুখের কাপড় খুলে চিৎকার করলে আমার দেবর ও শ্বাশুড়ি ছুটে আসে।
পরদিন সকালে চেংঠী হাজরাডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বুলুর নিকট গিয়ে বিষয়টি বললে তিনি বলেন দুপুর ১ টার মধ্যে বসে মিমাংসা করবো। মিমাংসা করার কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। এটা আমার শ্বশুর হরিপদ রায় বুঝতে পারে। তখন আমার শ্বশুর আমাকে বলেন যে, ধর্ষণের ঘটনা ডাক্তারী পরীক্ষা না করলে পরে প্রমান পাওয়া যাবে না। তাই আমার শ্বশুর হরিপদ রায় বাড়ি থেকে এসে আমার স্ত্রীকে নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ৩০ এপ্রিল বিকেলে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মহিলা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। তারা এখনো মামলা করেননি। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।