ময়মনসিংহের ভালুকায় রাইদা কালেকশন লিমিটেডের শ্রমিকদের বেতন, ঈদ বোনাস, হাজিরা বোনাস, কাজের মজুরি ও বার্ষিক ছুটির টাকা কম দেয়াসহ শ্রমিকদের সাথে উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএমডি) দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে
সোমবার (৬ মে) দুপুরে শ্রমিকরা জামিরদিয়া এলাকার মায়ের মসজিদের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক দেড়ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, লাবিব গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রাইদা কালেকশন লিমিটেড নামে সুয়েটার কারখানার শ্রমিকদের সাথে কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাজহারুল ইসলামের দুর্ব্যবহার, সরকার নির্ধারিত বেতন, বোনাস, কাজের মজুরি কম দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রথমে কারখানার ভেতরে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা।
পরে বেলা ১১ টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকরা দুপুর সাড়ে ১২টার সময় মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
শ্রমিকরা জানান, তারা এ ফ্যাক্টরিতে ৯ হাজার নারী পুরুষ কর্মরত আছেন। তার মাঝে ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছেন উৎপাদন ভিত্তিতে। আর অন্য ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন মাসিক বেতন ভিত্তিতে। ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই তাদের বেতন, ঈদ বোনাস, হাজিরা বোনাস, কাজের মজুরি, বার্ষিক ছুটির টাকা কম দিয়ে আসছেন। এ সব ঘটনার প্রতিবাদ করলে কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাজহারুল ইসলাম প্রায়ই তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি গালাগাল করে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। তাদের দাবির বিষয়গুলো মেনে নেয়াসহ ডিএমডির পদত্যাগের দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ ব্যাপারে বার বার চেষ্টা করেও কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ময়মনসিংহ শিল্প জোন-৫, এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, রাইদা কালেকশন লিমিটেডের শ্রমিকরা কিছু দাবিদাবা নিয়ে তাদের মাঝে অসন্তোষ ছিলো। পরে তারা ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যারিকেট দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বক্তব্য শুনে এবং তাদের দাবিদাবা বিষয়ে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।