পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ঘুষ নিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দশমাইলে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। সদর উপজেলার দশমাইল দ্বি মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) পদ শূন্য না থাকলেও, প্রতারণা করে ১২ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ৯ বছরেও বেতন ধরাতে না পারলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক মোছা.নাসরিন বেগম বিজ্ঞ আদালতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন প্রধান ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনতেজার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি আদালতের মাধ্যমে সুবিচার চেয়েছেন। ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম নুচরাপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে ও জাহিরুল ইসলামের স্ত্রী।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন ও সভাপতি মনতেজার রহমান সুকৌশলে বিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান শূন্য পদ না থাকলেও ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহবান করে।সেখানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় নাসরিন বেগম। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১২ লাখ টাকা দাবী করলে চাকুরির নিশ্চয়তার জন্য ১২ লাখ টাকা দেয়া হয় তাদের। পরে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন তারা।৷
৩১ জানুয়ারী ২০১৫ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন। দীর্ঘদিনেও বেতন ধরাতে না পেরে বুঝতে পারেন। তার আগেই ওই পদে আরো একজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বেতন ভাতাদি করে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদত্তর না দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত দশমাইল দ্বি মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন প্রধানকে বিদ্যালয়ে পাওয়া না গেলে, বার বার মুঠোফোনে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী মোছা.নাসরিন বেগম জানান, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি শূন্য পদ না থাকলেও প্রতারণা করে নিয়োগ দিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক বছরেও বেতন ধরাতে পারেননি। এজন্য আদালতের আশ্রয় নিয়ে সুবিচার চেয়েছি।
বাদীর আইনজীবি জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তদন্ত দিয়েছেন।