রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
Title :
কানাডায় প্রথম এইচ৫ বার্ড ফ্লু শনাক্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ দেবীগঞ্জে অ্যাপসের অফিস খুলে প্রতারণার অভিযোগে যৌথবাহিনীর হাতে ৩ জন আটক দেবীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে ইউপি সদস্য আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগের নেতাকর্মী ও মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বিএনপির কমিটি গঠন মেহেরপুরে টিএফসিএল’র আয়োজনে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্যদিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন গাংনীতে যৌথবাহিনীর পৃথক অভিযানে নারীসহ ৪ জন আটক জ্বালানি সেক্টরে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মেহেরপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান-জরিমানা

বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ওয়ান নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ১৭৯ Time View
বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাকশাল একক কোনও দল নয়, ছিল জাতীয় দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অফিসিয়ালি আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এখন সেই বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি নেতারা।’

শনিবার (১৮ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর তার বক্তব্যে প্রায়শই ‘বাকশালী শাসন’ মন্তব্য করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে বলবো— বাকশাল একক কোনও দল নয়, এটা ছিল জাতীয় দল; কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এখন এটাকে বাকশাল বলে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল। ফখরুল সাহেবকে বলবো— বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিসিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কী জবাব দেবেন? এটা আরও দুয়েকবার বলেছিলাম, জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।’

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম— বিএনপির ভারত বিরোধিতার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করে দেখবে, বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কিনা! তাদের সামনে কোনও ইস্যু নেই, তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আনে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কী কী কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সে নির্বাচনে আসেনি। সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনে যে বাস্তবতা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউট ৪২ শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখ তো আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে, বিএনপি যখন যা কিছু ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে। সভা-সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমন-পীড়ন… সেটা তো হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কীভাবে মেরে, হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চেয়েছে, করেছে। সরকার তো কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।’

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন। সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন, এটা তুলে নিতে।’

সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘১৭ মে জননন্দিত সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপিত হয়েছে। বিদেশের ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পর তিনি দেশে এসে সারা দেশে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, তেঁতুলিয়া থেকে কুতুবদিয়া ছুটে গেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। বঙ্গবন্ধু উত্তর হতাশা কবলিত দিশেহারা মানুষের কাছে। বঙ্গবন্ধুর আপনজন ছিলেন এ দেশের সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও আপনজন এ দেশের সাধারণ মানুষ। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ও স্থায়িত্বের কারণে। এই দুই কারণে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তর হয়েছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর এবং উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin