আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬৮ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) প্রদেশের গর্ভনরের মুখপাত্র আব্দুল ওয়াহিদ হামাস বলেছেন, আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
আব্দুল ওয়াহিদ হামাস আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাদেশিক রাজধানী ফিরোজ কোহসহ বিস্তীর্ণ এলাকার অন্তত দুই হাজার বাড়িঘর ভেসে গেছে। চার হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে কমপক্ষে দুই হাজার দোকানপাট। শত শত হেক্টর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রদেশটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এলাকার অনেক রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে,শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় ফারয়াব প্রদেশে ১৮ জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র ইসমাতুল্লাহ মোরাদির এপিকে জানিয়েছেন,চারটি জেলার ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তিনশ’র বেশি পশু মারা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় ঘোর প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেখানে অন্তত আড়াই হাজার পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে। সহায়তার জন্য সংস্থার কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র নিহতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, ১০ মে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশে অন্তত ৩০০ জন নিহত হয়। এছাড়া এপ্রিলে পশ্চিম ফারাহ ও হেরাত এবং দক্ষিণ জাবুল ও কান্দাহার প্রদেশে বন্যায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়। অন্তত দুই হাজার ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ ও চারটি স্কুল ধ্বংস হয়।