নৈশ প্রহরী আবু সাঈদ। তিনি পঞ্চগড় সদর সেটেলমেন্ট অফিসের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত। রাতের বেলা ডিউটি না করে সরকারি অর্থ লুটপাট করছেন অপরদিকে সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে আসা লোকদের কাছ থেকেও অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আবু সাঈদের কাজ হল রাতের বেলা পাহারা দেওয়া আর অফিসের মালামাল দেখেশুনে রাখা। দিনের বেলা তার অফিসে কোন কাজ না থাকার কথা। তারপরেও তিনি অন্যান্য অফিসারদের সাথে হরহামেশা কাজ করে যাচ্ছেন। রীতিমতো তিনি অফিসার বনে গেছেন। বাহির থেকে দেখে বোঝার উপায় নাই যে তিনি একজন নৈশ প্রহরী।
সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আবু সাঈদ আউটসোর্সিং এ নিয়োগ পাওয়া নৈশ প্রহরী। সে অফিসের কাজ করে। তবে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে দিয়ে কেন কাজ করাচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
অফিসের দোতলায় রয়েছে ফাকা রুম। সেখানে তৈরি করেছেন গোপন আন্তানা। জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঝামেলা নিয়ে আসা সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে গেলে আবু সাঈদের শরণাপন্ন হতে হয়। তাকে ছাড়া কোন কাজই হয়না। সেবা গৃহীতাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করতে তাদের কে নিয়ে যান দোতলার রুমে। সমস্যা বুঝে টাকার পরিমান বলে দেন। চাহিদা মত টাকা দিলেই তার যত বড় সমস্যাই হোক না কেন সে সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।
নৈশ প্রহরীর পাশাপাশি সাঈদ দালাল হিসেবেও পরিচিত। অফিসের বাহিরে রয়েছে অনেক দালাল। এসব দালালেরা আবু সাঈদকে দিয়েই অফিসের অবৈধ কাজকর্ম হাসিল করেন। এসবের টাকার একটি অংশ যায় উপরের কর্মকর্তাদের কাছে।
মাত্রা অতিরিক্ত দালালের কারনে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা পড়ছে নানা বিড়ম্বনায়। প্রতিনিয়ত তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।আবু সাঈদ ইতিপূর্বে ঝাড়ুদার হিসেবে যোগদান করলেও বর্তমানে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করছেন। অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসের মূল্যবান বালাম বইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র তিনিই আনা নেয়া করেন। তার এমন কাজকর্ম অফিসের জন্য চরম ঝুকিপূর্ণ বলে জানান সেবা নিতে আসা লোকজন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অফিসে জনবল কম থাকায় সে আমাদের কে সহযোগিতা করছে। তবে সেবা গৃহীতাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়ে বলেন সু নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।