শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
Title :
পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং গাংনীতে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতিকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা ॥ চিরকুট উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ওরশের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবী পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যালি ও রক্তদান কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হারিয়ে যাওয়া ৮১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ নানা আয়োজনে মেহেরপুরে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন বাবার হত্যার বিচার ও পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তনয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন

দেবীগঞ্জে প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট, কাজ শুরু না করেই টাকা আত্মসাৎ

একেএম বজলুর রহমান,পঞ্চগড়
  • Update Time : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ২০৫ Time View
দেবীগঞ্জে প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট, কাজ শুরু না করেই টাকা আত্মসাৎ
দেবীগঞ্জে প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট, কাজ শুরু না করেই টাকা আত্মসাৎ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, মন্দির, শ্বশানঘাটের মাটি ভরাট, বিভিন্ন অফিসের আসবাবপত্র ক্রয়, রাস্তা সংস্কারসহ উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়।

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেন সরকার। আর এসব প্রকল্প সরজমিনে পরিদর্শন করে বরাদ্দকৃত টাকা ছাড় দেয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক প্রকল্পে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়নি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নামে মাত্র পরিদর্শন করা হয়েছে। জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের ওয়েব সাইট হতে বরাদ্দ কৃত প্রকল্পের তালিকা নিয়ে অনেকগুলো প্রকল্প সরজমিনে যাচাই করা হয়।

সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে প্রকল্পগুলোর নিম্নলিখিত অনিয়ম দেখা গেছে। দন্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ ঘোলান্টিপাড়া নবাবিদ্যা ভক্তি আশ্রম ঘর সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হলেও বাকি ২২ হাজার টাকা কাজ শেষ করার পর দেয়া হবে। সেখানে এক টাকারও কাজ করা হয়নি। সেখানকার পুরো ৫২ হাজার টাকাই লুটপাট করা হবে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যাচাই না করেই প্রকল্পের টাকা প্রদান করেন৷ স্থানীয় ব্যক্তিরা প্রকল্পের টাকার ব্যাপারে কোন কিছু জানেন না। তারা বলেছে এখানে যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা আমরা জানিনা। বরাদ্দের টাকা কার কাছে দেয়া হয়েছে বা কার কাছে আছে সেটাও জানিনা। আশ্রমের সভাপতির সাথে কথা বললে তিনি প্রকল্পের কথা জানেন না বলে জানান।

একই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ দাবা ফেডারেশন এর ঘর সংস্কার করার জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি টাকা কাজ শেষ হওয়ার পর দেয়া হবে। কালীগঞ্জ বাজারে দাবা খেলার জন্য কোন ঘর নেই। দাবা ফেডারেশনের ঘরের নামে প্রকল্পের নামে যে ৩০ হাজার টাকা কাজ শুরু করার জন্য দেয়া হয়েছে সে ৩০ হাজার টাকা পুরোটাই লুটপাট করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কালীগঞ্জ বাজারে দাবা ফেডারেশন নামে কোন ঘর আছে কিনা তা জানে না। সেখানে বরাদ্দ দেওয়া ৫২ হাজার টাকার মধ্যে উঠানো ৩০ হাজার টাকা কোথায় গেল এলাকাবাসী জানতে চায়। প্রকল্প সরজমিনে না দেখেই ভুয়া বিলের মাধ্যমে টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানান স্হানীয় লোকজন।

কালীগঞ্জের ঘোলান্টিপাড়া শ্মশান ঘাট সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা দেওয়া হয় । কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার শ্বশ্বান ঘাটে ১০ টাকারও কাজ হয়নি। প্রকল্পের ৫২ হাজার টাকা দেয়ার ব্যাপারে এলাকাবাসী জানেন না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় শ্মশান ঘাটের কমিটি আমাদেরকে এ ব্যাপারে কোন কিছু জানায়নি। টাকার হিসাবও দেননি। তবে শ্বশানের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি জানান, টাকা তোলা হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। কাজ করতে না পারলে টাকা ফেরত দিবো।

কালীগঞ্জ বাজারের সুপার মার্কেট হতে তহশীল অফিস পর্যন্ত কাচা রাস্তা সংস্কারের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় কিন্তু সেখানে সরজমিনে গিয়ে যাচাই করে দেখা যায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। বাকি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পুরো এক লক্ষ টাকায় প্রদান করে। কিভাবে তিনি টাকা ছাড় দিলেন তা বোধগম্য নয়।

কালীগঞ্জের প্রধানাবাদ ঢাকাইয়াপাড়া আসান আলীর বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানের মাঠে ভরাটের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে বাকি টাকা কাজ শেষ করার পর দেয়া হবে। কিন্তু সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৭/৮ হাজার টাকার মত কাজ করা হয়েছে। বাকি টাকা সেখানে লুটপাট করা হয়েছে। কবরস্থানের পাশের এক ব্যক্তি জানান, এখানে ৭থেকে ৮ টলি মাটি দেয়া হয়েছে। তাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মত খরচ করা হয়েছে।

দন্ডপাল ইউনিয়নের প্রধানাবাদ ঝারপাড়া গ্রাম উন্নয়ন ক্লাব ঘর সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারমধ্যে ৩০ হাজার টাকা কাজ শুরু করার জন্য দেওয়া হয়েছে বাকি ২২’হাজার টাকা কাজ শেষ করার পর দেয়া হবে। সেখানে এক টাকারও কাজ হয়নি। কাজ না করে ত্রিশ হাজার টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলেছে বাকি ২২ হাজার টাকা নিয়ে কাজ করা হবে।

সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ময়নাপাড়া কৃষ্ণ মন্দির ঘর সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরাদ্দকৃত ৫২ হাজার টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয় কাজ শুরু করার জন্য। টাকা নিয়ে সেখানে এক টাকারও কাজ হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরজমিনের না গিয়েই এবং প্রকল্প না দেখেই বরাদ্দকৃত টাকা প্রদান করে। স্থানীয় লোকজন প্রকল্পের টাকার জন্য কোন কিছুই জানে না। বরাদ্দের ব্যাপারেও তারা কিছু বলতে পারেননি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না গিয়ে পরিদর্শন না করে কিভাবে বরাদ্দকৃত টাকা দেয়। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা বাবুল নামের এক ব্যক্তি জানান অফিস থেকে বাকি টাকা এনে কাজ করবো। যে টাকা তারা দিয়েছে সেটা দলের পিছনে খরচ করা হয়েছে।

একই ইউনিয়নের শিবের হাটের দক্ষিনে হরিবাসর ঘর সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি ২২ হাজার টাকা শেষ হলে দেয়া হবে। কিন্তু সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কাজ হয়েছে বাকি টাকার লুটপাট করা হয়েছে। বাকি টাকা কমিটি ও সরজমিনে যাচাই করি কর্মকর্তা মিলেমিশে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

শিয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠে মাটি ভরাটের সংস্কারের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় কিন্তু সেখানে সারাজীবনে গিয়ে দেখা যায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। বাকি টাকার লুটপাট করা হয়েছে।

পামুলী ইউনিয়নের কাটণহারি কালী মন্দির ঘর সংস্কার করার জন্য ৫২ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি ২২ হাজার টাকা কাজ শেষে দেয়া হবে। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। ৩০ হাজার টাকার মধ্যে একশ টাকারও কাজ হয়নি। প্রকল্পের টাকার ব্যাপারে এলাকাবাসী কোন কিছুই জানেনা। প্রকল্প আছে কিনা সেটাও তারা বলতে পারে না। এছাড়াও লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এখানে দুই বছরের মধ্যে কোন অনুদান আসেনি। তাহলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কিভাবে বরাদ্দকৃত টাকা দিয়েছেন। প্রকল্পের ৫২ হাজার টাকা পুরোটাই লুটপাট করা হবে।

দেবীডুবা ইউনিয়নের অধিকারীপাড়া বিঞ্চু মন্দির (২) ঘর সংস্কার করার জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় বাকি টাকা কাজ শেষ হবার পর দেয়া হবে কিন্তু সেখানে মাত্র ১০ হাজার টাকার মত কাজ হয়েছে বাকি টাকার কোন হিসাব নিকাশ পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী বলেছেন পুরো টাকায় কাজ করা হয়েছে তবে স্থানীয় মন্দির কমিটি অস্বীকার করে বলেন এখানে মাত্র ১০ হাজার টাকার মত কাজ হয়েছে।

একই এলাকার আরেকটি কালী মন্দির ঘর সংস্কার করার জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি ২২ হাজার টাকা কাজ সমাপ্ত হবার পর দেয়া হবে। কিন্তু সেখানে রং করা বাবদ মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্বসাত করা হয়েছে। বাকি টাকা কার কাছে রয়েছে সেটাও জানা যায়নি।

সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের নুরুর বাজার এলাকার সোনাহার কুমারগাড়ী কালীমন্দির হতে রঘুনাথের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্থারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সে রাস্তা নামে মাত্র মাটি ফেলে পুরো মাটি শচীন চন্দ্র নামের এক লোকের বাড়ির সামনের আংগীনায় মাটি ভরাট করা। এতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। বাকী টাকা আত্মসাৎ করা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরজমিনে না এসেই অর্থ ছাড় দিয়েছেন।

সোনাহার বাজারের কবরস্থানের সংস্কার করার জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকি ২২ হাজার টাকা কাজ শেষ করার পর দেয়ার কথা। কিন্তু সেখানে কোন কাজ করা হয়নি। পুরো টাকাই আত্বসাত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেখানে কাজ করার মত কোন লক্ষ্মণ পাওয়া যায়নি।

একই ইউনিয়নের মাঝাপাড়া মসজিদ হতে আলহাজ্ব তজমলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার বাবদ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয় কাজ শুরু করার জন্য। বাকি ২২ হাজার টাকা দেয়া হবে কাজ শেষ করার পর। কিন্তু সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, মাত্র কয়েক হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সেখানে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে। বাকি টাকার কোন হিসাব নাই।

চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগদহ বাজার বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসের মাটি ভরাট ও আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় বরাদ্দ দেবার পর সেখানে গিয়ে দেখা যায় প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি। অথচ এক লক্ষ টাকাই উত্তোলন করা হয়েছে। অফিসের সামনে শুধু মাত্র কিছু বালু ফেলে রাখা হয়েছে।

নতুনহাট বঙ্গবন্ধু পরিষদ অফিসের মাটি ভরাট ও বারান্দা নির্মাণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সরজমিনে কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৪০/৫০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে বাকি টাকার কোন কাজ হয়নি। প্রকল্পের পুরো টাকায় দেওয়া হয়েছে।

বাগদহ বাজার রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের শাখা অফিস এর আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বাকি টাকা ২২ হাজার টাকা কাজ শেষ করার পর দেওয়া হবে। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে সেখানে কোন আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়নি। বরাদ্দের ৩০ হাজার টাকাই লুটপাট করা হয়েছে। অফিসের লোকের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রকল্পের টাকা সে দিবসের খরচসহ অন্যান্য কাজে খরচ করা হয়েছে। বাকি ২২ হাজার এনে আসবাবপত্র কেনা হবে।

হরনারায়নী নতুনহাট রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের শাখা অফিস এর আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ শুরু করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বাকি টাকা ২২ হাজার টাকা কাজ শেষ করার পর দেওয়া হবে। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে সেখানে কোন আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়নি। বরাদ্দের ৩০ হাজার টাকাই লুটপাট করা হয়েছে

দেবীগঞ্জের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন জানান, আমরা বরাদ্দের টাকা দেয়ার পর সরজমিনে যাচাই করেছি। যেগুলো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি সেগুলো প্রকল্প শুরু করার জন্য তাগাদা দিচ্ছি। কাজ শেষ না করা পর্যন্ত পুরো অর্থ দেওয়া হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin