পঞ্চগড়ে বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের যৌতুকের দাবিতে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুমারা আক্তার (২৬) নামে এক নারী। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজ নগর গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাকিবসহ তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চছপাড়া ঠুটাপাকুড়ি গ্রামে বোনের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সাম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতনের শিকার স্ত্রী রুমানা আক্তার ও তার ৯ মাস বয়সের সন্তান জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আক্তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিয়ের পর থেকে ঢাকায় কাজের সুবাধে আমার স্বামী সাদেকুল ইসলাম রাকিবসহ ঢাকা দীর্ঘদিন ছিলাম। এর মাঝে আজিজ নগর এলাকায় শ্বশুড় বাড়িতে আসলে যৌতুকের দাবি তুলে শ্বাশুড়ি মাজেরানা খানম রিনা। পরে ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাকিবকে ও শ্বশুড়কে নিয়ে পরিবারের আরো দুইজন মিলে যোগসাজশে আমার ওপর যৌতুকের দাবিতে অমানসিক নির্যাতন চালায়। আমার বাবা-মা মারা যাওয়ায় তাদের দাবি পুরণ করতে না পারায় তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে। এর মাঝে আমার ৯মাসের কোলের সন্তাকে সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আমাকে ও সন্তানকে গ্রহণ না করায় আমি ভাইয়ের বাড়িতে এসে গত ৯ মার্চ যৌতুকের জন্য মারপিট করায় নারী ও শিশু নির্যাকন দমন আইনে মামলা দায়ের করি।
রুমানা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করেন দিনের পর দিন শ্বশুড় বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে আমাকে নির্যাতন করে আসছে। আমরা এখন বাইরে ভেসে বেড়াচ্ছি। আমার স্বাশুড়ি তেঁতুলিয়া উপেজলায় পরিবার পরিকল্পনায় মাঠ পর্যায়ে চাকুরি করেন। স্বশুড় বেসরকারি স্কুলে চাকুরি করেন। তারা টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমি আমার সংসার ফিরে চাচ্ছি ও আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় ফিরে চাচ্ছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। তারা একজন অসহায় মা ও মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে পারে তারও বিচার দাবি করছি।