মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের পুরাতন বিজিবি ক্যাম্প পাড়ার হতদরিদ্র স্বামী পরিত্যাক্ত জমেলা খাতুনের বসতভিটা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার রাতটা নয়টার দিকে বিদ্যুতের সংযোগের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোচালা টিনের ঘরটি। খবর পেয়ে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পরিবারটির কাঁথা কম্বল, জামা কাপড়, ফ্রিজ, টিভি, হাড়ি পাতিল সহ ব্যবহারের সমস্ত জিনিসপত্রসহ ঘরে রাখা নগদ ১০ হাজার টাকাও। অগ্নিকান্ডে অসহায় পরিবারটির দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে জানান স্থানীয়রা। জমেলা খাতুনের স্বামী দীর্ঘদিন হল তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
একমাত্র ছেলে তুফানকে নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করে আসছেন তিনি। ছেলে তুফান রাজমিস্ত্রির কাজ করে যা আয় করে তা দিয়ে চলে জমেলা খাতুন ছেলে তুফান এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে এই পাঁচ জনের সংসার। আকস্মিক এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পরিবারটির স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ। নেই পরিধানের কাপড়ও। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জামেলা খাতুন ও তার ছেলে তুফান। তাদের এই বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদানকৃত দুই বাইন ঢেউটিন এবং নগদ অর্থ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রাথমিক অবস্থায় দুই বাইন টিন ও ছয় হাজার টাকা প্রদান করেন।
উপজেলা প্রশাসন সবসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে থাকবে বলেও আশাব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম এবং উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন।