পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। সোমবার (৩ জুন) আদালত এই রায় ঘোষণা করে। তবে এখনই ইমরান খান কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। গোপন কূটনৈতিক নথির অপব্যবহার ও প্রকাশের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
আইএইচসি-এর প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব সংক্ষিপ্ত রায়ে তাদের খালাস দেন। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইমরান ও কুরেশিকে এই মামলায় দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আপিলে খালাস পেলেন তারা।
এই রায়ের কয়েকদিন আগে ১৯০ মিলিয়ন রুপির বিনিময়ে ইমরান খানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছিল আইএইচসি। প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গীরের দুই সদস্যের বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হতে থাকে। এসব মামলার মধ্যে দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও রয়েছে।
গত বছর আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। ওই সময় তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এরপর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলা এবং অবৈধ বিয়ের মামলাতেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত। একাধিক রায়ে সাজার কারণে বেশ কিছু মামলায় জামিন ও খালাস পেলেও কারাগারে থাকতে হচ্ছে তাকে।
আইএইচসির রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি খান বলেছেন, ভিত্তিহীন মামলাটির আজ রায় হলো। এই মামলার রায়ে দশ মাস কারাগারে কাটিয়েছেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দাবি করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুব শিগগিরই কারাগার থেকে মুক্ত হবেন।