মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে মুদি দোকানে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কাবিদুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করে চিকিৎসক। বুধবার (৫ জুন) রাত পৌনে নয়টার দিকে এঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে এক পক্ষের আহতরা হলেন, হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা খাতুন, ছেলে নাসির উদ্দিন, মিজানুর রহমান, আনারের স্ত্রী হাসিনা খাতুন। অপর পক্ষের আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত মোনাজাতের ছেলে কাবিদুল, আসাদুল, মৃত ইয়াজুদ্দিনের ছেলে আকুল।
আহতরা জানান, মিজানুর রহমানের মুদি দোকানে বছর ধরে লেনদেন করে আসছিলেন গ্রামের আসাদুল হক। দোকানের পাওনা ১২”শ টাকা রাত ৯টায় দিকে দোকানদার মিজানুর রহমান আসাদুলের কাছে চাইলে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ সময় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও ইটের আঘাতে নারীসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ হরিরামপুর গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অস্ত্রের আঘাতে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হওয়া আসাদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসক।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মনজুরুল হাসান জানান, আহতদের মধ্যে আসাদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয়েছে। বাকিদের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সততা নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।