পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ধকরাহাট উচ্চ বিদ্যালয় পাওয়া যায়নি কোন ছাত্র ছাত্রী। পাওয়া যায়নি কোন শিক্ষককে। ১ জন পিয়ন বসে অফিস কক্ষ পাহারা দিচ্ছেন।
৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীরা সরজমিনে বিদ্যালয়ে অবস্থান করে ২ জন শিক্ষককে পাওয়া যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা বিদ্যালয়ে অবস্থান করা কালীন বাকি ৯ জন শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে দুইজন শিক্ষক আসলেও বাকি শিক্ষকদের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে এক জন অফিস সহকারীকে পাওয়া যায়। তাদের কে প্রধান শিক্ষকের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষক বাড়িতে বাড়িতে অবস্থান করছে।
পরে প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়ে তার সহধর্মিনীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, স্যার অসুস্থ। তিনি ঘুমাচ্ছেন তবে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন আপনারা বসেন আমার স্বামীকে ডেকে দিচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক বাড়ি পোশাক পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। তিনি বলেন যে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম তবে অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে থেকে চলে আসছি। আমি রেষ্ট নিতেছি। বাকি শিক্ষকেরা অনুপস্থিত জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, কয়েক জন শিক্ষক অসুস্থ। বাকিরা বিদ্যালয়ে আসে তবে ছাত্র ছাত্রী কম থাকার কারনে এবং বর্তমানে কাজের সময় থাকায় তারা আসেনা।
বিদ্যালয়ে উপস্থিত একজন অফিস সহকারী বলেন বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী অনেক কম। ঠিক মত ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসেনা।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ বিদ্যালয়ে কোন পড়াশোনা হয়না। ছাত্র ছাত্রীরা কোনদিন আসে, কোনদিন আসেনা। শিক্ষকরাও ঠিক মত বিদ্যালয়ে আসেনা। সরকার তাদের কে এমনি এমনি বেতন দেন।
বর্তমানে প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করছে। তবে শিক্ষকরা আসেন ঠিক মতই। তবে কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ থাকার কারণে তারা ঠিক মতো আসতে পারেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক নিরেন্দ্র নাথ অধিকারী।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে গভর্নিং বডির সকল সদস্যকে নিয়ে বসেছিলাম। প্রধান শিক্ষক অসুস্থ থাকায় তাকে ছুটি নিতে বলি কিন্তু তিনি ছুটি নেন না।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আবু ওয়ারেশের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন আকতার বানুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এখন দায়িত্বে নেই, জেলা শিক্ষা অফিসার দায়িত্বে আছে।
পঞ্চগড় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল মালেকের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলবো।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।