নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ হলো। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ভারতের কাছে বাজে হারের স্মৃতি এবার ফিরিয়ে আনেনি পাকিস্তান। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়লো তারা। এবার কোনও বাধার মুখে পড়লো না পাকিস্তান। কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকলো তারা।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে উদ্বোধন হওয়া নিউইয়র্কের দুর্বোধ্য এই পিচে সর্বোচ্চ ১০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জেতার রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার তাদের পেছনে ফেললো পাকিস্তান। ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাবর আজমরা ভারতের বিপক্ষে নিউইয়র্কে ১২০ রানের টার্গেটে নেমে অবিশ্বাস্য পরাজয় বরণ করেছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। সেই অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে হয়তো কানাডাও চমক দেখাতে চেয়েছিল।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে কানাডা। তাদের পক্ষে একাই লড়াই করেন অ্যারন জনসন। ৫২ রান করেন এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কানাডার হয়ে রেকর্ড অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন জনসন, পেছনে ফেলেছেন নভনীত ঢালিওয়ালকে। জনসন ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন। হারিস রউফও সমান সংখ্যক উইকেট পান।
সহজ লক্ষ্যে নেমে এবার পাকিস্তান হোঁচট খায়নি। মোহাম্মদ রিজওয়ান হাফ সেঞ্চুরি করেন, বাবর আজমের কাছ থেকেও ভালো সহযোগিতা পান তিনি। যদিও টপ অর্ডারে সাইম আইয়ুব (২) ও ফখর জামান (৪) হতাশ করেছেন।
দলীয় ২০ রানে ওপেনার সাইম ফিরে গেলে বাবরকে সঙ্গে নিয়ে রিজওয়ান ৬৩ রানের জুটি গড়েন। বাবর ৩৩ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে আউট হন। সতর্ক হয়ে খেলেছেন রিজওয়ানও, ৫২ বলে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৫৩ বলে ৫৩ রান করে এই উইকেটকিপার ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ২ চার ও ১ ছয়ের ইনিংস খেলে। ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে পাকিস্তান। দারুণ বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আমির।
তিন ম্যাচে প্রথম জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে কানাডাকে টপকে তিনে উঠে গেছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত দুই ম্যাচ শেষে অপরাজিত থেকে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে।
১৪ ওভারের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের নেট রান রেট ছুঁতে পারতো। এনিয়ে ম্যাচ শেষে বাবর বলেছেন, ‘আমাদের মাথায় ছিল এটা, ১৪ ওভারের মধ্যে জিততে হতো। কিন্তু পিচ কাজটা কঠিন করে তুলেছিল।’ ডিলন হেইলিগারের বলে মোভভার গ্লাভসবন্দি হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক। আউট হতেই ক্ষোভে ব্যাট দিয়ে মাটিতে আঘাত করেন। রাগের কারণ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কারণ একই শটে (ভারত ম্যাচ) দ্বিতীয়বার আউট হলাম। অথচ এটা আমার শট। আমি আবার আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’ জয়ে স্বস্তি প্রকাশ করলেন বাবর, ‘আমাদের জন্য ভালো। এই জয় দরকার ছিল।’