ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন ও অপারেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিয়ুক লেবাননে আক্রমণের যুদ্ধ পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন। মঙ্গলবার তারা এই অনুমোদন দেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে লেবাননের ইরানপন্থি হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বৃদ্ধির পর এই পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হলো। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, জেনারেলরা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে ‘লেবাননে আক্রমণের জন্য অপারেশনাল পরিকল্পনা’ অনুমোদিত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, মাঠে বাহিনীর প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ জেনারেলরা।
লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পরিকল্পনাটির অনুমোদন দিলো। চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা বৃহত্তর সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, ৭ অক্টোবরের নৃশংসতার পর সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর উপস্থিতি তারা সহ্য করবে না। কূটনৈতিক সমাধান না হলে হিজবুল্লাহকে লেবাননের আরও গভীরে ঠেলে দেওয়ার জন্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উত্তর ইসরায়েলের লেবাননের কাছাকাছি গেশার হাজিভ উপকূলের সমুদ্রের ওপর একটি সন্দেহভাজন ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
আট মাস ধরে গাজা যুদ্ধে সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে গুলিবিনিময় করছে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় গোষ্ঠীটির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সিনিয়র এক কমান্ডার নিহত হন। এরপর ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোতে সবচেয়ে বড় রকেট ও ড্রোন হামলা চালায় তারা, যা নভেম্বরে থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে সবচেয়ে বড় ঘটনা।
এদিকে, হিজবুল্লাহ হাইফা শহরে নজরদারির ফুটেজ প্রকাশের পর গোষ্ঠীটির সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। মঙ্গলবার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শিগগিরই একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে। এমনকি উত্তেজনা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাও এতে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
তিনি আরও বলেছেন, ‘একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে হিজবুল্লাহকে ধ্বংস এবং লেবাননকে নাস্তানাবুদ করা হবে।’