কেনিয়ায় একটি বিতর্কিত কর বিল পাশ হওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ৩টায় বিক্ষুব্ধ জনতা দেশটির পার্লামেন্টের ভেতরে ঢুকে ভাংচুর চালায়। এমনকি পার্লান্টের একাংশে আগুনও দেন তারা।
তাদের দমনে পার্লামেন্টের ভেতরেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যথ হলে গুলিও ছুড়ে তারা। এতে করে অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা জানিয়েছেন, রাজধানী নাইরোবিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের কম্পাউন্ডে প্রবেশ করলে গুলি চালায় পুলিশ।
নতুন কর বিলের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদদের ভোট দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। পার্লামেন্টের ভেতরকার একটি ফুটেজে দেখা গেছে, টেবিল ও চেয়ারগুলো ওলটপালট হয়ে আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো ভাঙা অবস্থা পড়ে রয়েছে। পার্লামেন্টের বাইরে ফুটেজে আগুন, কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া এবং কয়েক ডজন সশস্ত্র পুলিশকে দেখা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে লাইভে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৎ বোন আউমা ওবামা। এসময় কেনিয়ান-ব্রিটিশ এই অ্যাক্টিভিস্টের ওপরও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
কেনিয়ার অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভ দমনে জলকামান ব্যবহার করেছিল পুলিশ।
পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে। এ নিয়ে কেনিয়াবাসীদের মধ্যে জনরোষ দেখা দিয়েছে। পরে অবশ্য রুটির উপর ট্যাক্স বসানোর একটি প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়।
নতুন এই কর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার তৃতীয় এবং চূড়ান্ত রাউন্ড ছিল আজ। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বিলটিতে এখন স্বাক্ষর করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। তবে এটি নিয়ে প্রেসিডেন্টের কোনও আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারবেন।
বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছে কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।