পঞ্চগড়ের বোদায় ব্র্যাক স্কুলের ১২ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে। ওই দিনই বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলে ধর্ষণকারী বিটুলকে আটক করা হয়নি।
তাকে আটক না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সকাল ছয়টার সময় ওই কিশোরী স্থানীয় মসজিদের মক্তবে আরবী পড়ার জন্য গেলে তেতুলের মোড়ে যাওয়ার সময় বিটুল নামের এক ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দরজা বিহীন দোকানের ভিতর নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে।
মোহাম্মদ বিটুল দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা এলাকার যুগির দুয়ার গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
মেয়েটি কান্নাকাটি করলেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। পরে মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। মেয়ের মা ধর্ষণের ঘটনা শুনার পর সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে সাজু ইসলাম ও সুজন ইসলাম ও মুস্তাফা এগিয়ে আসে।
পরে মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান অবস্থার থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কিশোরীটি বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মেয়ের বাবা জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মসজিদে কোরআন পড়তে যাওয়ার সময় পশ্চিম টোকরাভাষা এলাকার বিটুল নামের ওই ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দোকানে নিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি ধর্ষণকারী বিটুলের ফাঁসি চাই।
বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। আসামী আটক করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা আশাবাদী দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবো।