গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হামাস অভিযোগ করেছে, আরব মধ্যস্থতাকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ জোরালো করেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের নির্মূলের চেষ্টা করছে।
দক্ষিণের সীমান্ত শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিকটবর্তী খান ইউনিসে এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
মধ্য গাজার নুসেইরাত শিবিরে পৃথক গোলাগুলি ও বিমান হামলায় কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তরের শেখ জায়েদে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাফাহতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং বিমান হামলায় যোদ্ধা, টানেল এবং অন্যান্য হামাস সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা জুড়ে প্রায় ৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে স্নাইপিং ও পর্যবেক্ষণ পোস্ট, সামরিক কাঠামো এবং বিস্ফোরক থাকা ভবন রয়েছে।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখাগুলো জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট ও মর্টার দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের সডেরট এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কোনও প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেশিরভাগ নিহত বেসামরিক বলে দাবি করা হচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের ৩২৬ সেনা নিহত এবং হামাসের এক-তৃতীয়াংশ যোদ্ধাকে তারা হত্যা করেছে।
৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের পর যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের দাবি, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি সেনা ও বেসামরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।