পঞ্চগড়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিসহ তিনজনকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বোদা আমলী আদালতে আসামীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠানোর এ আদেশ দেন। একই সাথে স্কুল পরিচালনা কমিটির আরো দুইজন সদস্য সহিদুল ইসলাম ও একরামুলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবি শংকর চন্দ্র রায় জানান, স্কুলে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দেওয়ার নামে সভাপতি আট লাখ টাকা নেন। দফায় দফায় টাকা নেওয়ায় সেটা স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা করে নেন বাদী। কিন্তু চাকুরি ও টাকা কোন টায় পায়নি বাদীপক্ষ। আদালতে আপোষের কথা বললে জামিন হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি চ্যালেঞ্জিংয়ে গেল।
জেল হাজতে যাওয়া নজরুল ইসলাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কামাতকুঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার উৎকুড়া এলাকার সুবাশ চন্দ্র তার ছেলে অনিক চন্দ্র কামাতকুঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকুরির জন্য আট লাখ টাকা নেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। চাকুরি না হওয়ায় ৮ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে তালবাহানা করে। পরে সুবাশ চন্দ্র বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।