পঞ্চগড়ের রাস্তায় নেমেছে ছাত্ররা। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন আনসার সদস্যরাও। দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিকের। যানজট নিরসন, মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহারে বাধ্য করা সহ নানান কাজ করছেন তারা। তার সাথে করছেন পরিছন্নতা অভিযান। পঞ্চগড় সদর থানা, জেরা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশেপাশের রাস্তার ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করছেন। বুধবার পঞ্চগড় সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরকারের পতনের পরে গেল সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর খুলেছিল সব ধরনের দোকান পাট অফিস আদালত সহ ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান। তবে হাট বাজারে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু এখন নিরব পঞ্চগড় শহর ব্যস্ত নগরীতে পরিণিত হয়েছে। স্বস্তি এসেছে জনজীবনে। সময়মত ছেড়ে যাচ্ছে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস। খুলেছে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, ব্যাংক, অফিস আদালত।
এছাড়া বুধবার সকাল থেকে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্ক এলাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজের বিএনসিসির সদস্যরা। পরে বুধবার দুপুরের দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনসার ও বিএনসিসি সদস্যদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এসময় তাদের মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার ও আইন মেনে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।