‘মাংকিপক্স’ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের আগমনী চ্যানেলে সার্বক্ষণিক একটি চিকিৎসক দল নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাংকিপক্স নিয়ে ‘বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’ বা পিএইচইআইসি ঘোষণা করেছে। আফ্রিকার কয়েকটি অংশে আশঙ্কাজনকভাবে এমপক্সের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এরপর গত ১৪ আগস্ট ডব্লিউএইচও এই ঘোষণা দেয়।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্দেশনায় বলা হয়, মাংকিপক্স বিষয়ে এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। এই রোগের লক্ষণযুক্ত কোনও যাত্রী থাকলে দ্রুত তা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশে আসার ২১ দিনের মধ্যে কোনও যাত্রীর শরীরে মাংকিপক্সের লক্ষণগুলো দেখা দিলে ১০৬৫৫ নম্বরে কল করতেও অনুরোধ করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সতর্কতার পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এয়ারলাইনস, রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অপারেশনস মেম্বার এয়ার কমোডর এ এফ এম আতীকুজ্জামান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য সতর্কতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। লিফলেট দিচ্ছে এবং আগমনী স্বাস্থ্য ডেস্কগুলো সপ্তাহের প্রতিদিনই ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানার আর্চওয়ের মাধ্যমে চেক করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানো হবে।