পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে ৪ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে তেতুঁলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই মামলা চার তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার চার তরুণ সহ ৬/৭ জন ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২০), নাহিদ হাসান (১৭), রেদোয়ান হোসেন রতন (১৭), সাব্বির হোসেন (১৯)।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা পিপিএম বলেন, ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীর বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোমনাতি এলাকায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি বাসযোগে তেঁতুলিয়াতে আসেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া বাজার থেকে দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় দর্জিপাড়া গ্রামের বুড়াঠাকুরের আস্তানায়। সেখানে একটি ঘরে রাতে আব্দুল্লাহ সহ দুই জন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে দর্জিপাড়া ফরেস্টে নিয়ে আব্দুল্লাহ, নাহিদ, রতন ও সাব্বির সহ ৬/৭ জন তরুণ পালাক্রমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে।
পরে শুক্রবার রাতে ওই তরুণীকে দর্জিপাড়া ফরেস্টে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যান তারা। পরে শুক্রবার রাতেই বিজিবির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে এই চার তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীর চাচা গ্রেপ্তার চার তরুণ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিধেয় কাপড় চোপড় জব্দ করা সহ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা আরো বলেন, যৌথ অভিযানে দ্রুত ধর্ষণের সাথে জড়িতদের মধ্যে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। একই সাথে অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা, তেতুঁলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।