পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের শালডাংগা ইউনিয়নের কালুপীর এলাকায় দুলাল হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। সে জমিতে একটি ডোবা রয়েছে। সে ডোবায় মাছ চাষ করেন দুলাল হোসেন। দুলাল হোসেন মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে। দুলাল হোসেন জানান, শিকারপুর মৌজার জেএল নং ২০ এর ১ নং খতিয়ানের ৩৩০২ ও ৩৩০৩ নং দাগে আমার পুকুর রয়েছে।
আমার পুকুর হতে কালুপীর এলাকার আদর্শ গ্রামের ঘর করার সময় মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হয়। মাটি কাটার পর আমার পুকুর হতে মাটি নেয়ার সময় কিছু খাস জমিরও মাটি কাটা হয়। ঘর তৈরি করার সময় মাটি কাটার সময়ে তৎকালীন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান তখন আমাকে পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য মৌখিক ভাবে নিদর্শে দেন। তখন থেকেই আমি ডোবাতে মাছ চাষ করতে থাকি।
কালুপীর এলাকার কছির উদ্দিনের ছেলে
শাহীন ইসলাম, গিরী হোসেনের ছেলে মামুন ইসলাম, সাইরদ্দিনের ছেলে তারেক ইসলাম, সোমার উদ্দিনের ছেলে কাবলু ইসলাম, শাহীন বেহারী, মৃত আক্কেল আলীর ছেলে তাহের আলী, জয়নুদ্দীন, আবুল হোসেনের ছেলে রনজু মিয়া, মমিনুল ইসলামের ছেলে হৃদয় ইসলাম, বাদশা মিয়ার ছেলে আব্দুল মমিন, আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার হোসেন অন্যায় ভাবে আমার পুকুরের বাঁশ কেটে পুকুরে ফেলে দেয় এবং পুকুরটি দখল করার জন্য চেষ্টা করে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার উপর আক্রমণের চেষ্টা করে।
পরে আমি দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। উক্ত পুকুরসহ পাশ্ববর্তী জমির খাজনা খারিজ ২০২৪ সাল পর্যন্তও দিয়েছি। পুকুরে আমার ১৬ শতক ও পাহারীতে ৮ শতক জমি রয়েছে আমার। এরপর কালুপীর এলাকার মৃত আক্কেল আলীর ছেলে আবু তাহের আমার জমি দখল করার জন্য সেখানেও একটি ঘরও তোলেন। পরে আদর্শ গ্রামের শাহিন ইসলামসহ বিভিন্ন লোকজনদের নিয়ে আমার পুকুর দখল করার জন্য এবং পুকুরের মাছ ধরার জন্য এগিয়ে আসেন। গন্ডগোল হওয়ার আশংকায় সেখানে আমি তাদেরকে বাঁধা দিতে যাইনি। তারপরেও তারা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। উক্ত মাপ দেয়ার পরেই বুঝা যাবে পুকুরটির মালিকানাকে।
শালডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, শাহিন ইসলাম যে অভিযোগ দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সেনা ক্যাম্পের লোকজন আসছিল। আগামী শনিবার দু'পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেয়া হবে।