আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা (পিআর ব্যবস্থা) ছাড়া বাংলাদেশে দুর্নীতি ও পেশী শক্তি মুক্ত নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। তাই আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বতীকালীন সরকারের উপর চাপ বাড়াতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে এক গণসমাবেশে থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে যে মার্কা যত শতাংশ ভোট পাবে তত শতাংশ প্রতিনিধি সংসদে যাবে। এতে দেশ ও জাতি মুক্তি পাবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার; দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। পার্বত্য অঞ্চলে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চায়। তাই এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কঠোর হস্তে দমণ করতে সরকারকে আহ্বান জানিযে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক ভূখন্ড রক্ষায় নিজেদের জীবন দিবে। এক ইঞ্জি ভূখন্ডও কাউকে দেয় হবে না।
দেশে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকার বৈষম্য দূর করতে না পারণে ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রক্ত দেয়া বৃথা হয়ে ভূলণ্ঠিত হয়ে যাবে। তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশ সংস্কারের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তাতে বৈষম্য বিদ্যমান। আলেম ব্যতীত কোন কমিশন কখনো নিরপেক্ষ হতে পারে না। তাই প্রতিটি কমিটিতে ওলামায়ে কেরামদের প্রতিনিধি থাকতে হবে। আলেমদের নিয়ে বৈষম্য কখনো কাম্য নয়।
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কারো কাছে মাথা নত না করে সাহসিকতার সাথে দেশ চালানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈষম্য ছাড়া নীতি নিয়ে এগুলে দেশের মানুষ তাদের সাথে থাকবে। আর যদি বৈষম্য করে বিদেশীয় এজেন্ড বা সংস্কৃতি দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে ফ্যসিস্টদের বিরুদ্ধে মানুষ যেমন লড়াই সংগ্রাম করেছে তেমনি আবারো আন্দোলন সংগ্রাম করবে। তিনি আরো বলেন, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন ছাড়া বৈষম্যমুক্ত সাম্যের বাংলাদেশ উপহার দেয়া সম্ভব নয়। তাই আগামী নির্বাচনে শান্তির দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বিজয়ী করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম প্রমূখ। সমাবেশ শেষে শায়খে চরমোনাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মুনাজাত করেন।