পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেওয়ায় বাড়িতে হামলা লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদীর পাহারের এলাকায় প্রায় ৪০ টি পরিবার বসবাস করে। এখানকার অনেক বাড়ি ইতিমধ্যে অনেকে বাড়িঘর বিলীন হওয়ার কারনে অন্যত্র চলে গেছে।
আব্দুল মান্নান এ ব্যাপারে২২ সেপ্টেম্বর দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কাওয়াখালী নদীর ঘাটে প্রায় ৫০টি নৌকায় করে প্রায় ১৫০ থেকে ২শ লোক বালু উত্তোলন করে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের কাওয়াখালী ঘাটের কাছে করতোয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতো ধানমারা সুলতানপুর এলাকার লোকজন। এ ঘাটের কাছে অনেক বাড়িঘর থাকায় বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কাওয়াখালী ঘাটের ধানমারা সুলতানপুর এলাকার লোকজন বালু তুলতে বাধা দেয়ায় মৃত জোয়াহের খার ছেলে আব্দুল মান্নান ও মহর আলীর ছেলে হাসিনুর রহমান হাসির বাড়িতে নিশান আলীর ছেলে শফি আলম, ময়ন উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেন, রবু আলীর ছেলে নুর নবী, সুলতান আলীর ছেলে সজিব আলী, বাছেদ আলীর ছেলে মাজু আলী, আলী মিয়া, মেছের আলীর ছেলে আছর আলী, আমির ইসলাম, শফিকুল আলমের ছেলে সোহাগ আলী, শফিকুলের ছেলে সোহেল আলী, মেছের আলীর ছেলে তোছের আলী হামলা চালান।
আব্দুল মান্নানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর ৩৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে এবং বাড়িতে রাখা গহনা ও জমি বন্ধকের ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও হাসিনুরের বাড়িতে হামলা করে ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে এবং বাড়িতে থাকা ২ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে ঘটনাস্থলে তদন্তও করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এখান থেকে বালু উত্তোলন করায় বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর বিলীন হবার আশংকা করা হচ্ছে।