পঞ্চগড়ের বোদায় বিদ্যালয় চলাকালীন স্কুল ছুটি দিয়ে শ্রেণিকক্ষেই রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল শিক্ষকদের এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এমন চিত্র দেখা গেছে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ নবারুন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিদিষ্ট সময় বিকাল ৪টার আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘটনার সত্যতা জানতে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিটে নবারুন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় নিদিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে শ্রেণিকক্ষেই রমরমা কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক জগেশ, সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষক আলী সিদ্দিক সানি, দপ্তরি নির্মল চন্দ্র রায় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকদের কাছে আমরা একপ্রকারের জিম্মি হয়ে পড়েছি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য বাধ্য হয়েই আলাদা ভাবে শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তে দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, আকাশের অবস্থা খারাপ এজন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। স্কুল চলাকালীন প্রাইভেট পড়ায়না, ছুটির পর স্কুলে প্রাইভেট পড়ায়।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষক আলী সিদ্দিক সানি বলেন, বিদ্যালয়ে আজকে ৩টা ৪০ মিনিটে ছুটি দিয়েছে। আমি তিন মাস ধরে স্কুলে ছুটির পর কোচিং করাই।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আইবুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া অন্যায়। আর শ্রেণিকক্ষে কোনোভাবেই কোচিং করানো যাবে না। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখছি।