আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গত ১৬ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত হয়ে এলেও এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে তার জন্মদিন পালিত হচ্ছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।
শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার খবরের সঙ্গে সঙ্গে তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতার এড়াতে বিদেশে চলে গেছেন। এদিকে ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে সেই অর্থে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। শেখ হাসিনা একটি খোলা চিঠি দিয়ে দেশবাসীকে শোক দিবস পালনের আহ্বান করলেও তেমন সাড়া মেলেনি। অবশ্য ওইদিন দলের কিছু নেতাকর্মী ও স্বতঃস্ফূর্ত জনগণ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এলে ছাত্র-জনতার মারধরের শিকার হন। শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর তার নিজ জেলা টুঙ্গিপাড়ায় কিছুটা প্রতিবাদ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিও অনেকটা গোপালগঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিনেও বড় ধরনের কোনও কর্মসূচি পালনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি পোস্ট দিয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন পালনে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা- কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা,গির্জায় তাঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে বলেও পোস্টে ঘোষণা করা হয়।
২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কারণে ওই সময়কার জন্মদিনগুলো বিদেশেই কেটেছে শেখ হাসিনা। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে জাতিসংঘ সম্মেলন ভার্চুয়ালি হওয়ার কারণে তিনি ওই বছর দেশেই তার জন্মদিন কাটে। বিদেশে অবস্থানকালে জন্মদিন কাটলেও দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। এবার ভারতের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় তার জন্মদিন কাটছে।