পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সদর বিটের উপেনচৌকী ভাজনী মৌজার খয়ের বাগান এলাকায় বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমিতে বন বাগান রয়েছে। সে বন বাগানে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গাছ কর্তনের অভিযোগে খোরশেদ শাহকে আটকের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দেবীগঞ্জ সদর বিটের অধীনে উপেনচৌকী ভাজনী মৌজার মধ্যে গেজেট ভুক্ত বনভূমিতে বন বাগান রয়েছে। যার জেএল নং ৫৩, সিএস/এসএ দাগ নং৬১। এ উপেনচৌকী ভাজনী মৌজার সরকারী গেজেটভুক্ত বনভূমিতে গাছকাটা ও জবর দখল জনিত অপরাধে বন আইন ও বাংলাদেশ দন্ডবিধি ধারায় খোরশেদ শাহকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। খোরশেদ শাহ দেবীগঞ্জ মিস্ত্রীপাড়ার এলাকার মৃত. লুৎফর রহমানের ছেলে।
দিনাজপুর বন বিভাগের আওতাধীন দেবীগঞ্জ রেঞ্জের ফরেস্টার কর্মকর্তা বন সংরক্ষক আব্দুল কাদের বাদী হয়ে বন আইনে ২৭ সেপ্টেম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন। পিওআর মোকদ্দমা নম্বর ২৩।
খোরশেদ শাহ দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। উপেনচৌকী ভাজনী মৌজায় তিনি প্রায় ২৫/২৬ বিঘা জমি জবর দখল করে রেখেছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার খোরশেদ শাহ ৩০/৩৫ জন সংঘবদ্ধ বনদস্যু নিয়ে সরকারী গেজেটভুক্ত সরকারী অর্পিত বন ভূমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বন বাগানের ১শ ২৭ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে। গাছ ও পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
খোরশেদ শাহ তার নিজের লোকজন দ্বারা গাছগুলি কেটেছে দাবী করায় সেনা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে তাকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়। প্রতিবেদকের হাতে আসা খোরশেদ শাহ'র নিজ হাতে লেখা এক স্বাক্ষরিত জবানবন্দীতে তিনি লিখেছেন আমি খোরশেদ শাহ (৬০) পিতা মৃত. লুৎফর রহমান মিস্ত্রীপাড়া দেবীগঞ্জ পঞ্চগড়। এই মর্মে জবানবন্দী প্রদান করেছি যে, উপেন চৌকি ভাজনী জেল নং দাগ নং ৫৩ সিএস দাগ নং ৬১ এ সৃজিত ২০০৫-২০০৬ সনের উপেন চৌকি ভাজনী বাগানের বনভূমিতে অদ্য ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে গাছ কর্তন করিয়া বনভূমি জবর দখল করে বন অপরাধ করছি। এমতাবস্থায় বন কর্মচারীদের হাতে আটক হই। এই অন্যায় করে আমি ভুল করেছি। আমি সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে দোষ স্বীকার করিলাম।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ রেঞ্জের ফরেস্টার কর্মকর্তা বন সংরক্ষক আব্দুল কাদের জানান, সরকারী গেজেটভুক্ত বনভূমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গাছকাটা ও জবর দখল জনিত অপরাধে এক জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।