বিশ্ব কবিতা কন্ঠ পরিষদের এক সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে, সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো.কামরুল ইসলামের নামে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বাদী জেলা জাসাস দলের সাধারন সম্পাদক ইউনুস শেখ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাড.আদম সুফি ব্রিফিংএ সংবাদিকদের জানান। এর আগে রোববার মামলাটি আমলী আদালত-১ দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অশালীন তিন বারের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জেনে বুঝে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হককে ২ নং আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের মে ২১ তারিখে বিশ্ব কবিতা কন্ঠ পরিষদের এক সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো.কামরুল ইসলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ প্রনয়ন প্রকাশ করে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের চর ছিলেন। জিয়াউর রহমানের কারনে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব হয়নি এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া তারই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টি করে।
পরের দিন ২২ মে বিভিন্ন মিডিয়াসহ দৈনিক করতোয়া প্রকাশিত হয়। যার মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে। আসামী কোন প্রমান ছাড়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশালীন কুরুচি ও মানহানিকর কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি ইউনুস শেখ অভিযোগ করে বলেন আসামীর বক্তব্যে কোন ভিত্তি নেই। তাছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। চট্রগ্রাম কালুরহাট বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে জাতীকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে উদ্ভুদ্ধ করেন। ঘটনার পরে মামলা করার চেস্টা করলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ভয়ভীতির কারন ও প্রভাবে মামলা করতে পারেন নাই বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংএ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাড.আবু সাঈদসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।