পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার জুগিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পপি আক্তারকে,উপজেলা শিক্ষক সমিতি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ করলে,অভিভাবকরা বদলি না করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে পাল্টা স্মারকলিপি দেন তারা।
বিষয়টি সুরহা না আসায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেনা। এতে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলে কোন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হয়নি। এতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে দাবী অভিভাবকদের।
জানা যায়, স্কুলের সহকারি শিক্ষক পপি আক্তার ৮-১২ আগস্ট পৃথকভাবে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) স্কুলের শিক্ষকদের অনিয়ম নিয়ে পোস্ট করে। তারা সময়মত আসেননা, ঠিকমত ক্লাশ নিচ্ছেনা, বাচ্চা নিয়ে আসে এছাড়া আরো অনেক কিছু। এতে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক মিটিং এ উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। পরে ওইদিনেই যাদের নামে ফেসবুকে অনিয়মের কথা লিখা হয়েছিল তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। আবার শিক্ষক নেতারাও একটি অভিযোগ দায়ের করে তার বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, অন্যান্য শিক্ষকের তুলনায় পপি আক্তার অনেক ভাল ভাবে ক্লাশ নেয়। এছাড়াও তিনি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন ভাল কিছু করার। তবে অন্যায় দেখলে তিনি প্রতিবাদ করেন এবং সবাই করবে এটা স্বাভাবিক।মুলত শিক্ষক সমিতির নেতাদের জন্য স্কুলের এ অবস্থা বলেন তারা।
জুগিকাটা স্কুলের সহকারি শিক্ষক পপি আক্তার বলেন ,আমার বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতি লেগেছে ফেসবুকে পোস্টকে কেন্দ্র করে না এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারি শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। তারা বলেছে আমার কারনে বদলি করা হয়েছে কিন্তু তদন্ত করে দেখেছে আমার কোন দোষ নাই। তারপরও আমার উপর এ ক্ষোভ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজা আল মামুন জানান ,স্কুলের কিছু বিষয় নিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন। এমনভাবে লিখা হয়েছে যেন গোটা শিক্ষক সমাজটাই অনিয়মে আছে। এছাড়াও তার দায়িত্ব কিন্তু সেটা না, কে আসল, ক্লাশ করল কিনা। সেটা দেখার দায়িত্বে উপজেলা-জেলা শিক্ষা অফিসার আছেন। গোটা শিক্ষক সমাজকে নিয়ে লেখার কারনে, সবাই মিলে গণ অভিযোগ করেছি। যেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসান জানান ,বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।