স্ত্রীর অধিকার নিতে এসে ছেলে ও ছেলের পরিবারের সদস্যদের হাতে এলোপাথাড়ি মারপিট করে জখম ও জোরপূর্বক হারপিক সেবন করিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে আয়সা আক্তার নামের এক নারীকে। আয়সা আক্তার জলিল বেপারীর মেয়ে। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড় মাছুয়ার পহলান বাড়ি এলাকায়।
এঘটনায় আয়সা আক্তার বাদি হয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী কামাতপাড়া এলাকার মৃত রইছুল ইসলামের ছেলে আল আমিন ও জিল্লুর রহমান, পারুল বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের নামে দেবীগঞ্জ থানায় মামলাও করেছেন।
মামলায় জিল্লুর ও পারুলকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়ে জামিনে বেরিয়ে আসলেও বাকি দুই আসামী আটক করা হয়নি।
মামলার এজাহার সুত্রে ও আয়সা আক্তার জানান, আল আমিনের সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় হয়। এরপর আমরা দুজনে কথা বলতে থাকি। কথা বলার এক পর্যায়ে আল আমিন আমাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয় এবং গাজীপুর চৌরাস্তায় আসতে বলে। তার কথায় আমি মে মাসের ৫ তারিখে গাজীপুর চৌরাস্তায় আসার পর আল আমিন আমাকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। আল আমিন বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে মে মাসের ৫ তারিখ হতে আগষ্ট মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক মেলামেশা করতে থাকে। যার কারনে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি এবং আল আমিনকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করি।
এরপর আল আমিন ২৬ আগষ্ট আমাকে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় রেখে তার গ্রামের বাড়ি দেবীগঞ্জের খারিজা ভাজনী কামাতপাড়ায় চলে আসে। এটা জানার পরে আমি ৩০ আগষ্ট আল আমিনের গ্রামের বাড়িতে চলে আসলে আমার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আমাকে আল আমিনের ভাই জিল্লুর রহমান, পারুল বেগম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাকে আল আমিনের বাড়িতে থাকতে বলে আর বলে তুমি আল আমিনের বাড়িতে থাকো আর আল আমিন বাড়িতে আসলে তার সাথে বিয়ে দিবো।
আমি ৩০ আগষ্ট হতে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল আমিনের বাড়িতে অবস্থান করি। ২৩ তারিখে জিল্লুর, পারুল ও রাজ্জাক আমাকে আল আমিনের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। তখন আমি আল আমিনকে বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি হতে বের হবোনা বললে রাজ্জাকের হুকুমে জিল্লুর ও পারুল আমাকে এলোপাথারি ভাবে কিলঘুশি মারতে থাকে। তারা আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে মুখে হারপিক ঢেলে দেয় যাতে আমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।
আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয়রা আসলে তাদেরকে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পরে স্থানীয়রা সেনা ক্যাম্পে খবর দিলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। আয়সা আক্তার আরও বলেন, আল আমিন বিয়ের নাম করে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আল আমিনকে আমি স্বামী হিসেবে চাই।