শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
Title :
স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে-মনির হায়দার মেহেরপুরে ধর্ষকের পক্ষ নেওয়ায় থানা ঘেরাও, এসআই ক্লোজড ॥ ধর্ষক পক্ষের দুজন গ্রেফতার মেহেরপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি তনু থেকে আছিয়া প্রতিটি ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দেবীগঞ্জে বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানায় খেজুর বিতরণ মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা দেবীগঞ্জে গলায় রশি দিয়ে পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা পঞ্চগড়ে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস নারী ধর্ষণসহ হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার-৩, অস্ত্র উদ্ধার

পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমির শ্রেনী পরিবর্তনের অভিযোগ

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
  • Update Time : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫২ Time View
পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমির শ্রেনী পরিবর্তনের অভিযোগ
পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমির শ্রেনী পরিবর্তনের অভিযোগ

আইন ভঙ্গ করে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার শুড়িভিটা এলাকায় নিজের কেনা ১২-১৫ বিঘা দুই-তিন ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে চা কারখানা নির্মানের জন্য প্রস্থত করছেন আব্দুল হান্নান শেখ নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি পঞ্চগড় জেলা পরিষদের অপসারনকুত সাবেক চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি।

বিনা অনুমতিতেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন তাঁর মতো আরো বহু মানুষ। অথচ ভূমি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন না করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। নির্বিচারে কৃষিজমি ভরাটের কারণে অনেক জায়গায় বর্ষা ও সেচের পানি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান শেখ। ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছে,চা-কারখানা করার জন্য। এতে একদিকে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় চা কারখানা হলে পরিবেশ দূষন হবে।চা কারখানা নির্মান বন্ধের দাবী জানান তারা।

জানা গেছে ফসলি জমি, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার জমির উন্নয়ন কর আদায় করেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

পূর্বানুমতি ছাড়া জমির শ্রেনি পরিবর্তন করা হলে শ্রেনি পরিবর্তনকারীকে তার নিজ দায়িত্বে জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের ধারায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লংঘন করলে পাঁচ বছরের দন্ড বা সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করছে এমন অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান শেখ এর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোহন মিনজি জানান, কৃষিজমি ভরাট করে বাড়ি কিংবা অন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কেউ না নিয়ে থাকলে অপরাধ হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে অবশ্যই খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: FAZLY RABBY
Tuhin