ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নূরপুর গ্রামে ইদ্রিস মিয়া নামে এক ব্যক্তির বসতবাড়ি জবর দখল করে আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাই ও প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইদ্রিস মিয়া ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নূরপুর গ্রামের জহিরুল হক, আলী হোসেন, জমির হোসেন, শামীম মিয়া, মনির হোসেনসহ তার লোকজনরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া পিতার ওয়ারিশ সূত্রে জায়গায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। তবে তার সন্তানদের লেখাপড়া কারনে বর্তমানে গ্রামের বসতবাড়ি তালাবদ্ধ রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পরিবার নিয়ে ভাড়াবাসায় বসবাস করছেন।
এ সুযোগে তার ভাই জহিরুল হক ও আলী হোসেন গ্রামের বসতবাড়িটি জবর দখল ও আত্মসাতের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ইদ্রিস মিয়া পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে উঠতে চাইলে জহিরুল হকসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক বাঁধা প্রদান করে মারধর করে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন মামলা দিয়ে ইদ্রিস মিয়াকে হয়রানি করে।
পরবর্তীতে পারিবারিক আর্থিক অভাব ও ছেলে মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইদ্রিস তার সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করতে গেলে জহিরুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে জায়গা বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করে। পরে ইদ্রিস প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর হামলা ও মেয়েকে মারধর করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ইদ্রিস মিয়া বলেন, আমার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে দলিলকৃত জায়গা আমি পেয়েছি। পারিবারিক অর্থের কারনে জায়গার কিছু অংশ কিছু বিক্রি করি ইদন মিয়ার কাছে। বায়নাপত্র নেয়ার পরই আমার ভাই জহিরুল হক আমার কাছে লোকজন নিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অনিহা প্রকাশ করলে আমাকে মারধরসহ পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার উপপরিদর্শক নূর নবী জানান, আমরা দুই পক্ষকে ডেকে ছিলাম। এটি জায়গা সম্পত্তির বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। সেজন্য আদালতে যাওয়ার পরিমর্শ দিয়েছি।