শনিবার রাজধানীর কাকরাইল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনও প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিজয় নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২ নভেম্বর) কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। অন্যদিকে দলটির ডাকা সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’।
এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনও সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে, নিজেদের পোড়া কার্যালয়ের সামনে কাল শনিবার সমাবেশ করবে বলে আজ সকালে ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। এক সংবাদ সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও শনিবার কাকরাইলে সমাবেশ করবে তার দল।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ২ তারিখ (২ নভেম্বর, শনিবার) যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন।…আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কত লোক মারবেন ওনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ দিয়ে করো। মুখ দিয়ে না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো। আমাদের সেটা করতে হবে। তার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
তবে এই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’। তারা-ও কাকরাইলে দলটির কার্যালয়ের সামনে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
পাল্টাপাল্টি এমন কর্মসূচি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডিএমপি ওই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিলো।