মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তাতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা,কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হােসনে মােবারক, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আদিলা আজহার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত সোমবার বেলা ১২ টায় আদালতের দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবোনালের একটি মামলার তদন্তকালে কিছু বহিরাগত যুবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক কে লাঞ্ছিত করে।
লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় গতকাল গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বাদী হয়ে গাংনী থানায় এজাহান নামীয় ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামিদের দ্রত গ্রেফতারের দাবী জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা।
মামলায় আসামিরা হলো- গাংনী পৌরসভার শিশির পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বসির (৩৫) আব্দুর রশিদের ছেলে, গাফার আলী (৩৭), আব্দুল মালেকের ছেলে, ঈমান আলী, আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে, জনি (৩৬), নজরুল ইসলামের ছেলে, সুমন (৩৫), মহাশিন আলীর ছেলে, ইয়ামিন আলী (৩৭), আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে, সাইদুল ইসলাম (৩৭) ও মোরশেদ আলীর ছেলে চান্দু ( ৩৬)।
উল্লেখ্য:মেহেরপুর আদালতের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর ২০৮/২০২৪ নাম্বার পিটিশন মামলা তদন্তের শুনানীর জন্য উভয়পক্ষকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ডাকা হয়। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বাদী-বিবাদী অফিসের সামনে হাজির হলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এসময় তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
এক পর্যায়ে ১০/১২ জন যুবক রাগান্বিত হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারকের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় ও শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া করে লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদ জানালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী তোফাজ্জেল হোসেনকেও লাঞ্ছিত করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাদী হয়ে গাংনী থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে একটি নিয়মিত মামলা করেন। মামলা নম্বর-৫।