ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় শুক্রবার (১৪ই নভেম্বর) সন্ধায় তালশহর ইউনিয়নের পূর্ব শেখ বাড়ির জারু শেখের ছেলে রকি শেখ (৪০) ও অজ্ঞাতনামা পাঁচ ছয়জনকে আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বোরহান মিয়া নামে ব্যবসায়ী। বোরহান সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামের মৃত কবির মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোরহান মিয়া গত ১৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আশুগঞ্জ যাচ্ছিলো। আশুগঞ্জ যাওয়ার পথে রকি শেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের নিয়ে বোরহানের উপর হামলা করে ও ধারালো অস্ত্র ধরে এলোপাথারী মারধর ও রক্তাক্ত করে তার সাথে থাকা নগদ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাসহ অ্যাপাচি ফোরভি মোটরসাইকেল এবং একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
হামলার পর স্থানীয়দের মোবাইলে ধারণকৃত একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় অভিযোগকারী বোরহান মিয়ার রক্তাক্ত অবস্থায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, চিকিৎসা শেষে বোরহান বাড়ি যাওযার পরে রকি শেখ বলেন, উক্ত বিষয়টি কারো কাছে না বলার জন্য এবং থানায় কোন প্রকার মামলা মোকাদ্দমা না করার জন্য, সে তার মটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটি ফরিয়ে দিবে ৬০ হাজার টাকা দিলে।
পরে আসামীর কথা মতো ৬০ হাজার টাকা তাকে দেয়া হয়। টাকা নেওয়ার পর আসামীর কাছে মটরসাইকেলটি ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। রকি মটরসাইকেলটি ফেরত না দিয়া উল্টো গ্রাণ নাশের ও বিভিন্ন হুমাকি ধামকি প্রদান করে বোরহান মিয়াকে।
স্থানীয় ও এ পথে চলাচলকারী ড্রাইভারা জানান, সন্ধার পর থেকে আমরা এই রাস্তা দিয়ে আর গাড়ী নিয়ে চলাচল করি না। দুইদিন পরপর এই রাস্তায় ডাকাতি হয়। হঠাৎ করে পাঁচ ছয়জন লোক কোথায় থেকে যেনো চলে আসে। আমাদের অস্ত্র ধরে হাত পা বেধেঁ মারধর করে এবং সাথে থাকা টাকা পয়সা ও গাড়ীটি নিয়ে চলে যায়। তাই আমরা এদিকে সন্ধারপর থেকে আর চলাচল করি না। আমাদের নিরাপত্তা নেই এই রোড দিয়ে।
এবিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি এসআই তৌহিদুল ইসলামকে তদন্ত করার জন্য দেয়া হয়েছে। আমি তার সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। অভিযোগের পর থেকেই আমরা এই রোডে সন্ধারপর থেকেই নিয়মত পুলিশের পক্ষ থেকে টহল জোরদার করেছি।