টাকা পয়সার জন্যে বা শত্রুতাবশত হয়রানীমূলক মামলার আসামী করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই বার্তা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, রাজনৈতিক হয়রানীমূলক যে মামলা হচ্ছে আমি বলেছি যে, ফৌজদারী অপরাধে জেনুইন ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। যদি কেউ মনে করেন যে আপনার প্রতি হয়রানীমূলক মামলা হচ্ছে,চাপ সৃষ্টি করে টাকা পয়সা নেয়ার জন্যে অথবা শত্রুতামূলকভাবে এই মামলার আসামী করা হচ্ছে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেবেন। আমরা ইতিমধ্যে ৫/৬ জনের আবেদন পেয়েছি। তাদেরকে সাহায্য করার জন্যে যতোটুকু ব্যবস্থা নেয়ার দরকার আমরা নিয়েছি।
আমরা আপনাদের আহবান করবো কোন দিকে যাবার দরকার নেই, আমি এখানে আসছি সেবা দেয়ার জন্যে। সত্য এসটাবলিষ্ট হোক সেটাই চাইবো। অন্যায় কারো বিরুদ্ধে যাতে না হয় এরজন্যেই আমি এখানে বসে আছি। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জেলায় কনষ্টেবল পদে ৮৩ জনের নিয়োগ প্রাপ্তির তথ্যও দেন। তাদের মধ্যে ৭৯ জন মেধায় এবং ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্পূর্ন নিরপেক্ষভাবে উপযুক্ত,যোগ্য ও মেধাবীদের রিক্রুট করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি,যদি কখনো আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয় কোন ব্যাক্তিবর্গ বা পুলিশের কোন সদস্য এই রিক্রুটে কাউকে আশ্বস্থ করে প্রতারনা করেছে বা চাকুরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা পয়সা বা অন্যকোন ভাবে যদি গেইন হতে চেয়েছে আমাদেরকে বলবেন। পুলিশের হোক বা যেকোন ব্যাক্তিবর্গ হোক আমরা একেবারে কঠোর এ্যাকশনে যাব। জেলায় কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পেতে ১৪৭১ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে শারিরীক সক্ষমতা যাচাই,লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওই ৮৩ জন চূড়ান্ত নিয়োগ পান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মো: ইকবাল হোছাইন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস) জয়নাল আবেদীন,পুলিশ পরিদর্শক(এলআইসি শাখা)মো: এনামুল হক, সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন, ওসি-ডিবি মো:হুমায়ুন কবির।