পঞ্চগড়ের আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শূন্য পদের বিপরীতে চিকিৎসক পদায়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করেছে সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম নামের একটি সংগঠন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সড়ক অবরোধ করে তারা।
এতে যানজটে পড়ে দূর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে চালকসহ যাত্রীদের। আগামী শনিবারের মধ্যে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে চিকিৎসক পদায়ন করা না হলে আবারও সড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক ত্যাগ করেন তারা। এর আগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির আয়োজনে মানববন্ধনে সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব সরকার ,উপ সমন্বয়ক ওয়াসিম আকরাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি রাব্বী ইমন, দেবীগঞ্জের আব্দুল মজিদ, আটোয়ারীর আতিক হাসান, বোদার আব্দুল মতিন, মানিক খান ও তানবিরুল বারী নয়ন বক্তব্যে রাখেন।
বক্তারা বলেন, সদর হাসপাতালসহ চার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও রয়েছে চিকিৎসক, নার্স আর শয্যা সংকট। পঞ্চগড় জেলায় বর্তমানে ১২৬ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১৭০ জন। এরমধ্যে কর্মরত আছেন ৪৪ জন। ১২৪ জন চিকিৎসক ছাড়াই চলছে পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্যসেবা।
বক্তারা আরও বলেন, পঞ্চগড় সিভিল সার্জন অফিসে চিকিৎসকের পদ ৩ জন থাকলেও সেখানে রয়েছে ১ জন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছে ১১ জন। পঞ্চগড় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ১৪ জনের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছে ৬ জন। তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জনের মধ্যে রয়েছে ৬ জন চিকিৎসক। বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জনের মধ্যে রয়েছে ১২ জন চিকিৎসক। দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৪ জন। আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জনের মধ্যে রয়েছে ৪ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে প্রেষনে অন্যত্র রয়েছে ৩ জন। এখানে নতুন করে কোন চিকিৎসককে পঞ্চগড়ে বদলী করা হলেও তারা কয়েক মাস থেকে অন্যত্র বদলী নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে সেবা পায়না সাধারন মানুষেরা।
পঞ্চগড়ের জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সার্জারী, মেডিসিন, ও্যানেসথেসিয়া, চক্ষু, অর্থোপেডিক্স, ইএনটি, কার্ডিওলজি, গাইনী, শিশু, ডেন্টাল, প্যাথলজিষ্ট, আল্ট্রা মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে।
তাই ১শ শয্যার পরিবর্তে দ্রুত আড়ইশ শয্যা হাসপাতালটি চালু করা হলে অনেকটাই দুর্ভোগ লাঘব হবে জেলাবাসীর। এতে করে পুরাতন ও নতুন ভবনে সাড়ে ৩শ শয্যায় মানুষ চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।