পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পর পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে সব প্রক্রিয়া শেষে ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে বিজিবি আনোয়ারের মরদেহ পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে পঞ্চগড় সদর থানা আনোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করে। ময়নাতদন্তের পর আনোয়ার হোসেনের মরদেহ ৭ ডিসেম্বর দুপুরে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮-৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশি আনোয়ারের জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’ ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। বিএসএফের দাবি ওই বাংলাদেশিরা তাদের ওপর বটি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার।
পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সে সঙ্গে চোরাচালানের দুইটি গরুও জব্দ করে বিএসএফ সদস্যরা। এদিকে গুলির শব্দ পেয়ে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা।
এদিকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহটি বিএএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে বিকেলে সব প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, মরদেহ গ্রহণ করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৭ ডিসেম্বর দুপুরে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।