বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা কারে হত্যা করে লাশ গুম, সন্ত্রাস, দূর্নীতি আর ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে দিয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বারবার জেলে গেছি।
সারা বাংলাদেশে ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছিলেন হাসিনা। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয় স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মামলা নিষ্পত্তি হলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। জনগণকে বোকা বানিয়ে পর পর তিনটা নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভেবেছিলেন কোন দিন ক্ষমতা থেকে যাবেন না। তবে তাকে পালাতে হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পরিণতি এমনই হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জন্য আবার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেশটাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গড়ে তুলব। সব মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই আমরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের ছেলেরা ভোট দিতে পারেনি। ভোট দিতে পারলে আমরা সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব। সেই লোক সংসদে গিয়ে আমাদের জন্য ভালো কাজ করবেন, দেশটাকে ভালোভাবে সাজাবেন। এটাই আমরা চাচ্ছি।
পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজিত করে৷ এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওশাদ জমির, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু প্রমুখ।
‘সবার আগে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বক্তব্য শেষে ২৪-এর অভ্যুত্থানে পঞ্চগড়ের ৫ শহীদের পরিবার এবং দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশি হামলায় নিহত একজনের পরিবারকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থসহায়তা দেন।