ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের উত্তর মৌড়াইল এলাকার মহসিন হৃদয়। ছাত্র জীবন থেকেই তার স্বপ্নটা ছিলো রাজনৈতিক নেতা হওয়ার। স্বপ্নটা হয়েছেও পূরণ। পি,টি,আই প্রাইমারি স্কুল শেষ করে ভর্তি হয় হাই স্কুল বি,বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।
সেখান থেকে এসএসসি পাশ করে, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। কলেজ থেকেই শুরু হয় তার জীবনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ। ১৫ বছর রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটে ৪ বার পদবী লাভ করে দল পদবী দিয়ে মূল্যায়ন করেছে মহসিন হৃদয়কে।
হৃদয় ২০১২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সদস্য হয়। ২০১৩ সালে ভোটের মাধ্যমে সরকারি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। ২০২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদ দেয়া হয়। ২০২২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০২৩ সালে শেষের দিকে দল থেকে বহিষ্কার হয় মহসিন হৃদয়।
শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে লালন করে তারেক রহমান এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিষ্ঠার সাথে দলের জন্য নিরলসভাবে করে যাচ্ছে। দল তাকে বহিষ্কার করেছেন তাই বলে থেমে যায়নি হৃদয়। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তথা ছাত্রদলের রাজনীতি করতে গিয়ে একাধিক বার কারা বরণ করে। আওয়ামী পুলিশ বাহিনী খুনি হাসিনার আমলে হৃদয়কে ৩০ টারও অধিক মামলা দিয়েছে।
মহসিন হৃদয় জানান, ২০২১ সালে পৌর নির্বাচনের ৪ দিন আগে ডিবি পুলিশ হাতে গুম হয়। ২ দিন পরে ফেরত দিয়ে কারাগারে পেরন করে আমাকে। বিগত ১৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ধারা নির্যাতিত হয়েছি। এই ১৫ বছর রাজনৈতিক জীবনে গড় হিসাব করলে ১০ বছরই বাড়ির বাহিরে বাহিরে কাটিয়েছি।
২০২১ সালে অন্যায়ভাবে হেফাজত মামলায় আসামী করা হয়, তার জন্য একটানা ৯ মাস বাড়ির বাহিরে পালাতক ছিলাম ওই অবস্থায় আমার মাতা বাসার খাট থেকে পরে গিয়ে হাত ভেংগে যায় , আমার মায়ের হাতের অপারেশন হয় আমি এমন হতভাগা সন্তান যে মায়ের পাশে থাকতে পারি নাই তার একমাত্র কারণ আমি বিএনপি সাপোর্ট করি।
তারপরও রাজনীতি থেকে পিছিয়ে যায়নি। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত রাখতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি।