ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে মেহেরপুর। রবিবার ভোর থেকেই এ এলাকায় কুয়াশা নামতে শুরু করে সাথে শুরু হয়েছে হিমেল বাতাস। কুয়াশায় ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশে কাজ না পেয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় সড়কগুলোয় যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে। ভোর থেকেই ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহনকেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম গতিতে চলতে দেখা গেছে। গাড়ির হেডলাইটের আলো কুয়াশা ভেদ করে মাত্র কয়েক গজ দূরে গিয়ে থেমে যাচ্ছে। রাস্তায় দুহাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।
দিনমজুর আবুল কালাম বলেন, অন্যান্য দিনের থেকে আজকে কুয়াশা অনেক বেশি। যখন মাঠে এসেছি তখন অন্ধকার কুয়াশায় চারিদিক ছিলো। শীতে কাঁপতে কাঁপতে এসে তুলা তুলছি। শীতের কারণে ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না।
অটোরিকশা চালক শিপন বলেন, “কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোরে বের হইনি। ৭টার দিকে বের হই। তখনও ঘন কুয়াশা। সড়কে যাত্রী নেই। তাই বসে আছি।
দিনমজুর আব্দুল হালিম বলেন, কুয়াশা বাড়লেও বাইরে কাজের জন্য বের হতে হয়। যদিও কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেই ভোরে এসেছি এখন প্রায় সাড়ে ৯টা বাজে তারপরও কাজে নেওয়ার জন্য কেউ আসেনি। শীতের কারণে কাজ নেই। তারপরও কুয়াশার মধ্যে এসে এই মোড়ে বসে থাকি। যদি কোনো কাজ আসে।
শিক্ষার্থী রোহান বলেন, আজকে আমার স্কুলে ভর্তির দিন। তাই বাবাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছি। শীত প্রতি বছরই পড়ে কিন্তু এবার মনে হচ্ছে শীত একটু বেশিই। চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ আরো বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।