জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে পঞ্চগড় জেলা সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে। এ কার্যক্রমে অনন্য অবদানের জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনে কর্মরত সহকর্মীদেরও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান ৭ জানুয়ারী চিঠি দিয়ে তাকে এ অভিনন্দন জানান।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অবিচল নিষ্ঠা ও জেলা প্রশাসনের টিমের সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের কারনে এই অসম্ভব অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে চিঠিতে জানান সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।
চিঠিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, জনগনকে গুনগত সেবা সুষ্ঠু ভাবে প্রদান এবং জন কল্যানে তথ্য ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য সিআরভিএস স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
তিনি আরও জানান, গত ডিসেম্বর মাসে পঞ্চগড় জেলায় অনুর্ধ এক বছর বয়সী ৩ হাজার ৬শ ৪৫ জন শিশুর জম্ম নিবন্ধন হয়েছে। যা জেলার মাসিক লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১শ ৬২ ভাগ। এটি একটি মাইলফলক অগ্রগতি। তাছাড়া একই মাসে পঞ্চগড় জেলায় গত এক বছরের মধ্যে মৃত ২ হাজার ৪শ ১২ জন ব্যক্তির মৃত নিবন্ধন হয়েছে। যা জেলার মাসিক মৃত্যু নিবন্ধন লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪শ ০৪ ভাগ৷ এটিও একটি অনন্য রেকর্ড।
জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলী বলেন, আমি সেপ্টেম্বর মাসে যখন পঞ্চগড় জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করি তখন জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সারা দেশের মধ্যে ৬৩ তম স্থান পায়। তখন আমি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে মিটিং করে পরিকল্পনা গ্রহন করি। জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শতভাগ করতে তিন মাসের একটি পরিকল্পনা তৈরি করি। সেভাবেই সকলকে কাজ করতে বলি। তিনি বলেন, যে কোন কাজ পরিকল্পনা করে করলে আর কাজের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে সফল হওয়া যায়। জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সারা দেশের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রথম হওয়াতে অনেক ভালো লাগছে। এজন্য মন্ত্রী পরিষদ থেকেও আমাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত ইউএনইএসসিএপি সদর দপ্তরে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সমুহের সিভিল রেজিষ্ট্রেশন এবং ভাইটাল স্ট্যাডিস্টিক্স উন্নয়নের জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সে কনফারেন্সে ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কে এই অঞ্চলের জন্য সিআরভিএম দশক হিসেবে ঘোষনা করা হয়। বাংলাদেশ ছিল এই কনফারেন্সের অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ।
সে কনফারেন্সে সিআরভিএম দশকে অর্জনের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে কতিপয় লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জম্ম ও মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে শতভাগ জম্ম ও কমপক্ষে ৫০ ভাগ মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরনকারী ব্যক্তির মৃত্যর কারন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নির্নয় করা তাছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সিআরভিএস বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৬ দশমিক ৯ এ উল্লেখ আছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ টি এবং ২৩২ টি সূচকের মধ্যে ৬৭ টি সিআরভিএস বাস্তবায়নের সঙ্গে সংম্পৃক্ত।