পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা দেবীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব নেন সাড়ে তিন মাস আগে। দেবীগঞ্জ থানার দায়িত্ব নিয়েই তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মাদক নিয়ন্ত্রণ, জুয়া বন্ধ, জমি দখল, অপরাধ দমন, পলাতক আসামী গ্রেফতারে। এক্ষেত্রে সফলতাও হন তিনি। সোহেল রানা দেবীগঞ্জ থানায় যোগদান করার আগে কখনো পঞ্চগড়ের কোন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ পুরস্কার পাননি।

দেবীগঞ্জের ওসি সোয়েল রানা গত বছরের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পরপর তিন মাসেই সেরা পুরস্কার টা অর্জন করেন। ধারাবাহিক এ পুরস্কার পঞ্চগড়ের কোন ওসিই অর্জন করতে পারেনি।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেডে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাকে সেরা পুরস্কারটা তুলে দেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।

মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সীর সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কল্যান সভায় পঞ্চগড় জেলায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা ও কর্মচাঞ্চল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি মাসেই এ পুরস্কার দেয়া হয়। ডিসেম্বর মাসেও জেলার বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী। বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ডিসেম্বর মাসেও শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হন দেবীগঞ্জ থানা।

শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোয়েল রানা নির্বাচিত হন। শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে দেবীগঞ্জ থানার এসআই রবিউল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে দেবীগঞ্জ থানার এএসআই এরশাদুল হক নির্বাচিত হন।

কল্যান সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) (প্রশাসন ও অর্থ) এস. এম. শফিকুল ইসলাম, দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোছাঃ রুনা লায়লা, পঞ্চগড় পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান আসাদ, পুলিশ লাইন্সের আরআই মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি, কোর্ট ইন্সপেক্টর, পঞ্চগড়ের সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ট্রাফিকের টিআই প্রশাসনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, আমার লক্ষ্য ছিল দেবীগঞ্জ থানা থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা, জুয়া খেলা বন্ধ, অন্যায় ভাবে অপরের জমি দখল, বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার করার জন্য। আমি আমার উপর নিজের দায়িত্বটাকে বড় মনে করে কাজ করছি। এক্ষেত্রে সফলতাও পেলাম। চেষ্টা করবো বাকি সময়টাও অপরাধ দমনে কাজ করবো। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।